প্রসঙ্গ যখন লিপি এবং ককবরক ( তিপরা কক)

 প্রসঙ্গ যখন লিপি এবং ককবরক ( তিপরা কক)  

@ ধীমান ত্রিপুরা

                                                                ফটো: এই আই (AI)  থেকে ।
 

Chini Online wo UAchang Tripura buthu Tongwo, chwng hey wanjwi kok masui laiwok / Salaiwok

 suijiya twi suijiya twi kaisaswk suiklai pore se pore laimiya,,,,  aikiyang kwroi yoi,,,

Bwra kokma lama hingklai kisa misa pore woi,,, kisa lawkhlai aro porewoi sei naiya,, tipra kok se hinklai... monojok maro wok,,  gang maro hingwoi pore laiya. 

 আমিও " তিপরা কক " দিয়ে লিখতে পারি না, অভ্যস্ত হয়ে উঠে নি, বানান উচ্চারণ সহ নানান সীমাবদ্ধতার কারনে, তবুও আমার মতো তিপরা তরুন তরুণীদের উদ্দেশ্য বলবো: - 

Amani kok bai suidi je lipi phabo ongthok,  hey amani kok suijak khalai ongkha. Lipi krwi hingyoi koijak woi suiya tongkhlai,  lipi phaira twk,  lipi nw buyai woi kare rathok,   lipni nw rutui kare lathow,,, isoklai sei suini hinyoi tongkholai chwng olu kwlaiwi tongno,, amani kok bai suijak ya ongwi tongnw,,,, oithani lipi lawoi kalai tongya woi amani kok bai sui se phunudi, suina ni se ai-kiyang kholaidi,,,

Nini amani kok nw lipi nw dosa rwyoi suiya tatongdi,,, imo nw naira, angbo pha phariya kro kwtho  amani kok bai suiwi khona rwduk,,, nwngbo suidi,, thaicha thainw ja phari,  buble jabele phaabo suidi amani kok,  bwkhau bai sanai kwthwng katang, yak bai suiwi phunidi. je lipi pha ongthok,  hey amani kok suijak kholai ongkha.

উপরে লেখাগুলো কেউ ভালো করে পড়বেনা,, পড়তে অসুবিধা কিংবা উচ্চারণ করতে অসুবিধা কিংবা কেউ কেউ সঠিক উচ্চারন এর ভুল নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করতে পছন্দ করবে। 

যারা "আমানি কক" দিয়ে লেখে তাদেরকে অবশ্যই সাধুবাদ জানাতে হয়,, এই যে বাংলা দিয়ে কথা বলতে হচ্ছে বিভিন্ন   ত্রিপুরা গ্রুপেও,,অথচ দেখুন আমিও ত্রিপুরা,  আপনিও ত্রিপুরা ,

এখানে এসে যদি আমরা ককবরক লিখতাম যে লিপি হোক?  কি হতো?

valo asen?  Kothai akhon?  এগুলো বাংলা অধ্যাপকরা পছন্দ করে না,,, তবুও কি থামছে বাংলা চর্চা?  ওরা( বাঙ্গালীরা)  তো লিপি থাকা সত্ত্বেও এভাবে লিখতেছে ami valo,, kobe aseben?  kothai akhon? 

আমরা  যারা লিপি নেই বা উদ্ধার করতে পারে নি  যেকোন লিপি দিয়ে লেখা আরো সুযোগ,,, মোট কথা ককবরক( তিপরা কক)  লিখলে বা চর্চা করলে হলো,, এটা( লিপি)  নিয়ে  পড়ে থাকার মানে হয় না। ২০ বছর আগে  আলোচনা বিষয়গুলো নতুন করে আলোচনা করে ঘোলাটে করি আমরা। লিপি উদ্ধার করেন / নতুন করে  আবিষ্কার করেন।  নতুবা রোমান বা বাংলা হরফে তিপরা কক লিখেন প্লিজ।  

তবে দয়া করে লিপি নেই এই  অজুহাত নিয়ে ত্রিপরা কক দিয়ে লেখা বন্ধ করবেন না ( স্কুলে থাকার সময় আমারও এই বিভ্রান্ত হয়েছে এই ভেবে লিপি না থাকার কারনে হয়তো ত্রিপুরা কক লেখা যায় না) 

আমরা যদি  ত্রিপুরা ককবরকর ভাষায়   যেকোন লিপি দিয়ে  প্রচুর পরিমান সাহিত্য ( হুমায়ন,,  রবি ঠাকুরের মতো শতখানি)  বই লিখে  কিংবা নোবেল ছিটিয়ে এনে বিশ্ববাসীকে তাক লাগায়তে পারি ,,,,  তাহলে আমাদের এত চিন্তা করতে হতো না,,,,,  ()

তবে দুঃখের সুরে বলতে হয়  বাংলাদেশের যতো ত্রিপুরা লেখক  ভাষাবিদ, সাহিত্য বিশারদ আছেন,  তাদের অধিকাংশই বাংলা ভাষা দিয়ে লেখা

 রোমান লিপি, বাংলা লিপি ব্যবহার করে ককবরক দিয়ে বইপুস্তক এর পরিমান  খুব বেশী  নাই  বললে চলে( আমি তরুন, অর্ধেক  বয়স চলে যাচ্ছে,  আমার নিজেরইও নেই  যদিও) আরো দুঃখের বিষয় হলো এগুলো আমরা চর্চা করি না,,, এর চেয়ে আরো দুঃখ হলো

 আমিও নিজে এই  বিভিন্ন তিপরা গ্রুপে লেখালিখিতে বা ত্রিপুরাদের সাথে বাংলা  দিয়ে লিখি প্রায়,,, 

আমি যেটি বলতে চেয়েছিলাম  রোমান / বাংলা  ( ভারত ও বাংলাদেশে প্রচলিত)   লিপি দিয়ে ককবরক  চর্চা করার সংখ্যা বাংলাদেশের বই পুস্তক খুবই কম,,,, 

লিপি যতদিন আবিষ্কার হবে না,, বা না হলেও কোন দুঃখে নেই,, ( পৃথিবীতে মোট  অর্ধেক ভাষাও লিপি নেই,,, যাদের লিপি আছে তারাও খুব বেশী আত্মতুষ্টি তা না,,, গভীরের বিশ্লেষণ করে পরম অনুতে পৌছলে ফলাফল দাড়ায় একটি জায়গার থেকে সবকিছুর উৎপত্তি এটি আমার কথা নয়,জ্ঞানী দার্শনিকদের কথা ) 

যে কোন একটি লিপিতে ককবরক বই পুস্তক প্রচুর লিখে আমরা মেধা বিনিয়োগ করতে পারলে ফলাফল কি হত এটি আপনারাও জানেন, ()

তাই এই মুহুর্তে বড়ো  সমস্যা লিপি না,,,,  এর চেয়ে বড়ো ভয়ংকর মারাত্মক সমস্যা হলো ককবরক ভাষায় ( মাই চানি মই চানি,  বমা চরোরুখ বাসা খিরোরুখ/ ) এরকম বাংলা লিপি কিংবা রোমান লিপি  দিয়ে  ১ হাজার বই পুস্তক সাহিত্য উপন্যাস লেখা আমাদের মাঝে নেই।  

তাই সমস্যা লিপি না,,, সমস্যা হলো যেকোন লিপি দিয়েও আমরা লিখছি না ককবরক,,,  তাই এই মুহুর্তে যে কোন লিপি দিয়ে বা বিশেষ করে যেকোন লিপি দিয়ে  ককবরক চর্চা করা অতিমাত্রায় জরুরি ও অবশ্যম্ভাবী 

কোন বাঙ্গালী যদি উপন্যাস লিখে এভাবে রোমান লিপি দিয়ো 

2mr pane chahiya ami mugdho hoyesi,, mukta goniye porse 2mr hasite,,,.,,,. এটিকে ভুল ভাষা চর্চা বলা যাবে না,,,,  

পৃথিবীর  যাদের লিপি নেই তাদের যে কোন লিপিতে চর্চার কোন বিকল্প নেই।  তবে কোন  ত্রিপুরা ছেলে মেয়ে  হায়ারোগ্লিফিক্সে ল্যাঙ্গুয়েসটিক ডিপার্টমেন্ট এর বিশেষজ্ঞ হয়ে নতুন করে লিপি বানিয়ে দেখালেও খুব বেশী অবাক হবো না। 

হয়তো আপনিও জানেন,  লিপির মালিকানা দাবি করাটা যে কোন জাতির জন্য বিতর্ক বটে যদি গভীরে চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে পারি।  A B c এটি রোমানিয়া  দাবী করে তাদের লিপি,,, ল্যাটিন দাবী করে তাদের   লিপি,, ইংরেজ গ্রীক আরো অনেকে দাবি করে,,, এমনকি বাংলা লিপিও ত্রিপুরা দাবি করতে পারে,,

রোমান লিপি বলে ব্রিটিনে ইংরেজি ভাষা চর্চা থেমে থাকেনি কিন্তু। 

ইতিমধ্যে আমরা লেখালেখির একটি প্লাটফর্ম হিসেবে ত্রৈমাসিক  Khorang ম্যাগাজিন বের করে চলছি.....।  প্রতি তিন মাসে ৩০০ কপির জন্য ৩৫,০০০/ ( পয়ত্রিশ হাজার) খরচ হয়। ঘরের খেয়ে আমরা এই কাজগুলো করে যাচ্ছি,,, মেধাশ্রম দিচ্ছি,, সময় দিচ্ছি,,, 

গত তিনটি সংখ্যা ম্যাগাজিন বের করার জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে  ২২৪ ঘন্টা সময় ব্যয় করেছি,,,,,,,,,,, () বাকি সহযোগীরাও প্রত্যকে ১০০ + আওয়ার মতো সময় ব্যয় করেছে। 

আপনি যদি মনে করেন ত্রিপুরা কক চর্চা ও বিকাশের জন্য প্রতি তিন মাসে ৩৫,০০০ টাকা খরচ করে বের করা দরকার, তাহলে আমাদের ম্যাগাজিন কিনে পড়ুন,,,,,  সহযোগীতার হাত বাড়ান,, নিয়মিত ডোনার হন,,, পাঠক হন,,, লেখক হন,, প্লিজ।

,১/ আপনি যদি বলেন ৩০০ কপি বের করে পয়সা নষ্ট করবে না 

২/ আপনি যদি বলেন অনলাইন প্রকাশ কর,,, গুগলে দাও পড়ে নেব। 

৩/ আপনি যদি বলেন কভার খারাপ,, পেজ নরমাল,,ঝকঝক কালার লাগবে,,,, 

আপনার প্রতিটি মন্তব্যকে আমরা রেসপেক্ট করবো।  তার সাথে আপনাকে ডোনার হতে হবে,,, কর্মী হতে হবে,,,  আগ বাড়িয়ে কাজ করতে হবে,,, আমাদেরকে শিক্ষিয়ে দিতে হবে,,,,  আমরা এটাই প্রত্যশা করি।

বি.দ্র:  ডলার খরচ করে আমরা যদি  মার্ক জাকারবার্গকে  চিঠি দিতে পারতাম ,, যে ডাটা এনালাইসিস এর জন্য,,,

আমাদের মোট ত্রিপুরা bwsa  যতোজন Facebook একাউন্ট  আছে,,, 

তাদের মধ্যে কতজন নিজের সাথে ত্রিপুরা কক দিয়ে কনভারসেশন করে,,,,, 

আমার তো মনে হয় না  ১ লক্ষ Tripura kok bwthai পাবো Facebook messenger  এ।   শুধু facebook এ  ত্রিপুরা প্রেমিক প্রেমিকা ও  যদি ককবরক ভাষায়  ম্যাসেনজারের  চ্যাট ( কথোপকথোন)  করতো তাহলে  এর ত্রিপুরা কক (শব্দ  সংখ্যাও)  কিন্তু কোটি শব্দ হয়ে যেত সার্ভারে,,,  

হামবাই।

ধীমান ত্রিপুরা ( নৃবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী)