আদিবাসীরা প্রতিনিয়ত others দ্বারা নির্মিত হচ্ছে, চিন্তা চেতনায়.
@ধীমান ত্রিপুরা
ফটো: এআই ( AI) থেকে
সংক্ষেপে বললে বরং মপ্রে ( সেনাবাহিনী) ও কলোনিয়াল শোষকরা বুদ্ধিভিত্তি কলাকৌশল নিমার্ন করতেছে,,, জাতীয় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও সোশিয়াল মিডিয়া পাহাড়িরা ভাল আছে, আনন্দ আছে, উৎসব পালন করতেছে স্বতস্ফূর্তভাবে এই মেসেজটি তারা ছড়িয়ে দিতে চায়। এমনকি সম্প্রীতি বুঝানো জন্য সেনারা এসময় বৈসু প্রোগ্রামে অতিথি হিসেবেও তাদেরকে অংশগ্রহণ করতে দেখবেন । এই ৩ দিন আদিবাসীদের বৈসু দিনগুলোতে বিদেশিরাও মুখিয়ে থাকে পার্বত্যকে দেখার জন্য,,তাই মপ্রেরা (সেনাবাহিনীরা) ক্যান্টমেন্ট এরিয়া খোলে দিচ্ছে বৈসু দিনগুলোতে যাতে পাহাড়ি সেনাবাহিনী সম্পর্ক পজিটিভ ভাবে প্রকাশ পায়। others দ্বারা শান্তির বার্তা কীভাবে নির্মিত হচ্ছে যেখানে আমাদের ( পাহাড়িদের, আদিবাসীদের) কোন ভুমিকা নেই,,, মন চাইলে সেনাবাহিনী পাহাড়িকে নিয়ে শান্তি চুক্তি উৎসব আনন্দ মিশিল বের করতেছে,,,,আবার মন চাইলে বৈসু র্যালি, খেলাধুলা আয়োজন করার জন্য তাদের থেকে অনুমতি নিতে হচ্ছে, সন্ত্রাস দমন নামে বিভিন্ন কলোনিয়াল প্রেকটিস করতেছে তারা,,যেকোন কাজকে বৈধতা দিয়ে নিজেদের ক্ষমতা তারা বৃদ্ধি করতেছে,,, দখল স্থাপনা বাড়তেছে আর জ্ঞানের মাধ্যমে সেটি যোক্তিক করে গড়ে তোলা আপ্রাণ চেষ্টা করতেছে তারা।
গ্রাম গঞ্জ উচু পাহাড়,বিদ্যুবিহীন কিংবা জেলা শহর তলি এলাকায় ঘুরলে, চুলচেরা বিশ্লেষণ ছাড়াই কিংবা জ্ঞানের গভীরতা বাদ দিয়ে নতুবা অর্থনৈতিক ও সমাজবিজ্ঞান নলেজ ব্যাতীত সাধারন কমন সেন্স বলে দিবে আদিবাসীরা ভাল নেই। তিনদিনের বৈসু একাংশই সোশিয়াল মিডিয়া ভেসে উঠা ভাল থাকা, Sustainable ভাল থাকাকে চ্যালেঞ্জ করে। গ্রামগঞ্জ থেকে উঠে আসা ছবিকে তো ব্যাঙ্গ করে বলতে পারি" টাক মাথা টুপি দিয়ে তিনদিন বৈসুতে ঢেকে দেওয়ার প্রচেষ্টা "
(অবশ্যই মধ্যবিত্ত বাবুশ্রেনি গড়ে উঠছে,,, একইসাথে তাদের দেখাদেখিতে লোকদেখানো প্রতিযোগিতা ও একাংশ রয়েছে । খেয়াল করলে দেখবেন তারা গরিব শব্দটি আর ব্যবহার করে না,,এটিকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য হিসেবে নির্মান করা হয়েছে,,,,পাশের বন্ধু কলিগ দুঃখ কষ্টের থাকলেও তাকে ধনী বলে মিথ্যা উৎসাহ দিচ্ছি, কিংবা একান্তই খরচ করতে না পারলে তাকে কৃপন বলে চালিয়ে দিচ্ছে,)
তৃনমূল ( Down to up) দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে যদি একটু চেখিয়ে দেখি তাহলে শুধু দেখবেন, না গ্রাম, না মিনিশহর কোনটাই বুঝা যাবে না,,,,বিশ্রী ও উলঙ্গভাবে পরিবর্তন( উন্নয়ন,অবকাঠামো) হচ্ছে।
পানি নেই কিছু গ্রাম,,
খাবার নেই পযার্প্ত,,
তবুও মদের আসর,,,
পবিত্রতা , পূজা পার্বন ও উৎসবের অজুহাত দিয়ে
মদকে প্রমোট করতেছে,,,
শিক্ষিত নিরক্ষর সবাই,,,
এমনকি ফেসবুকেও মদ প্রমোট,,
আর শৃঙ্খলের কথা বলি
বিশেষ করে ত্রিপুরাদের কথা যদি বলি তাহলে চলে আসে প্রথমে
পুরোহিত যাজকবিহীন সমাজ পার করতেছে এরা,,,শৃঙ্খলিত হওয়ার জন্য নিদিষ্ট স্থানে এক হতে পারছে না "মাতাই পুখিরি" বাদে,,,,others থেকে আমদানি করা পুরোহিত হিন্দু বাঙ্গালীকে দিয়ে কাজ চালাচ্ছে,,,,বিয়ের মতো পবিত্র উৎসব এ রিনাই এর পরিবর্তে স্বয়ং সংস্কৃতিকে উলংগ করে শাড়ি দিয়ে কাজ চালাচ্ছে
মধ্যযুগের ধর্মও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর হাতে নেই খুব,,,,সংবেদনশীল কোন প্রত্যয় এখনও গড়ে উঠে নি বললেই চলে।
কিছুই করতে হবে না,,শুধু যদি এইটুকুই করে, মদ মানুষকে অন্ধ করে রাখে যা চিন্তার জগতে বড় বাধা তৈরি করে। আমাদের জন্য,আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য মদমুক্ত সুস্থ স্বাভাবিক পরিবেশ তৈরিতে,মানবিক পৃথিবী গড়ার পথে মদের নেশা আমাদের জন্য সবসময় বাধা হয়ে দাঁড়াবে আর আমার সমাজ জাতি এখনও পিছিয়ে আছি এই অজুহাত দিয়েও যদি মদ থেকে বিরত থাকতে পারি তথাকথিত সমাজপ্রেমিক শিক্ষিতরা তাহলে সমাজে একটি নিরব বিপ্লব ঘটবে ধীরে ধীরে,,,এর আউটপুট ৫০ বছর পর বুঝা যাবে।
দ্বিতীয় বিপ্লব ঘটবে বই পড়ার প্রচারনা অভ্যাস ঘটাতে পারলে,,,
আমি আপাতত এটাকে পাহাড়ি সমাজ পরিবর্তনে বেসিক কাঠামো হিসেবে দেখি। উপরিকাঠামো হিসেবে থাকবে সেটি হলো.. ()
ধীমান ত্রিপুরা
বি.এস.এস ( অনার্স), এম.এস.এস ( নৃবিজ্ঞান), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
0 Comments