দুপুরে খাওয়ার সময় ফুরিয়ে বেলা ঘনিয়ে এসেছে ,সূর্য হেলিয়ে পড়তেছে পশ্চিমে ,আর হেলিয়ে যাওয়া সুর্যের এ বিপরীতে হাতে দ্যা , কাধেঁ কুড়াল ও কোমরে বাধাঁ গামছা এবং খালি পায়ে হেঁটে যাচ্ছে বেশীয়াপা । কিন্তু ঠিক! তাকে উদ্দেশ্য করে পেছন থেকে একজন ডাক দিলেন...
ফটো: এই আই (AI) থেকে
এই যে দাদা ! নমস্কার !
নমস্কার!
কোথায় যাচ্ছেন ?
বাড়িতে !
কিন্তু হাতে দা , কাধেঁ কোড়াল কেন ?
কাজ করে বাড়ি ফিরছি ?
কিছু খেয়েছেন ?
না , বাড়ি গিয়ে খাব ।
দাড়াঁন, আমার ব্যাগে খাওয়ার জিনিস আছে আমরা একসাথে গাছের তলায় ভোজন করি ।
কিন্তু আপনি কে ?
আর কেনবা আমাকে খাওয়াতে যাচ্ছেন ?
ওহ ! আসলে আমার নাম উইন মর্গান , আমি অনেক দুর থেকে এসেছি... ।
এই উইন মর্র্গান পৃথিবীর একজন বিখ্যাত নৃবিজ্ঞানী । অক্সফোর্ড , হার্ভাড , ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পি.এই.ডি নিয়েও তিনি সন্তুষ্ট নয় । একাডেমি ডিগ্রি ছেড়ে, এখন ঘুরে বেড়ান পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে বনে বাদুরে ,শুধুমাত্র মানুষ ও প্রকৃতি কাছ থেকে জ্ঞান আরোহন করে নিজের জ্ঞানের পরিধিকে বিস্তৃতির জন্য । ভাষার দক্ষতাও তার নেহাৎ কম নয় । পৃথিবীর যে সাড়ে তিন হাজার ভাষা আছে কমবেশি সবই তার জানা । তাই তো দুর আমেরিকান থেকে এসেও সহজে মিশে যেতে পারল এই অপরিচিত ব্যাক্তি বেশীয়াপার সাথে । আচ্ছা বেশীয়াপা আপনার সাথে বাড়িতে আর কে কে আছেন ?
আমি একা থাকি এবং একা থাকতে আমি খুব পছন্দ করি ।
ওহ ! খুবই ভাল সিদ¦ান্ত । আমি ও ঠিক আপনারই মত ।
হুম !
আচ্ছা এতক্ষন কথা বলে আপনার কাছ থেকে যা শিখলাম আপনি দেখি সব জিনিসকে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেন যেটি সাধারনত প্রাতিষ্ঠানি ও অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যাক্তিরাই অনুশীলন করে থাকেন ।
বেশীয়াপা কিছুটা মুচকি হেসে ) না ! আসলে আমি এত বড় ডিগ্রি অর্জন করেনি তবে অবসর সময়ে গোপন মহলে কথাগুলো লিখার চেষ্টা করি ।
গোপন মহল কথাটি শুনে জানার আগ্রহটা আরো বেশী বেড়ে গেল উইন মর্গানে , তাই তো পাল্টা প্রশ্ন করলেন
গোপন মহল ? গোপন মহল মানে কি ?
যদি বলি গোপন মহলে মানে, তাহলে তো সেটি আর গোপন মহল থাকল না ।
আমার ওপর আস্থা রাখুন !
না! আমি কাউকে বলতে পারব না । আমি শুধু তাকে বলব যে আমার মৃত্যুর পর এই গোপন মহলের কথাগুলো পৃথিবীর সকল মানুষকে জানাতে পারবে ।
কথা দিচ্ছি ! আমি চেষ্টা করব পৃথিবীর সকল মানুষকে জানিয়ে দেওয়ার যদি আপনার এই গোপন মহলটি সত্যি হয়ে থাকে ।
সত্য না মিথ্যা ,পরে না হয় বিচার করুন !কিন্ত আমি কীভাবে বিশ্বাস করব আপনি কাজটি সম্পাদন করতে পারবেন ।
কারন আমি একজন নৃবিজ্ঞানী । পৃথিবীর মানুষের অজানা কথাগুলো পৃথিবীর মানুষকে জানিয়ে দেওয়া আমারই দায়িত্ব ।
তাই !
হুম
অমনি উইন মর্গানকে জড়িয়ে ধরলেন বেশীয়াপা এবং কিছুক্ষন পর উইন মর্গান থেকে একটু দুরে সরে চাপা কন্ঠে বলতে শুরু করলেন তার গোপন মহলের কথাগুলো ;
আপনি সামনে তাকান ! সামনে কি দেখতে পাচ্ছেন ?
একটি বড় পাহাড় !
কিন্তু এটি শুধু বড় পাহাড় নয় , এই পাহাড়ে একসময় হাজারো পরিবার বসবাস করত । তারা সম্পূর্ন ভিন্ন একটা জাতিগোষ্টি ছিল । আধুনিক রাজনৈতিক , কুটনৈতিক তাদের কোন বিন্দুমাত্র ধারনাই ছিল না । তারা জানত না কোনটা ইন্ডিয়া, কোনটি বাংলাদেশ , কোনটি মায়ানমার । একদিন শাসকগোষ্টিরা তাদের পরামর্শ ছাড়াই আন্তর্জাতিক সীমারেখা নির্ধারন করলেন, ফলে তাদের করো বাড়ি ইন্ডিয়া , মামারবাড়ি বাংলাদেশ , আর শুশুরবাড়ি মায়ানমারে সীমা রেখায় পড়ে গেল । একসময় তাদের জামাই-শুশুর,মামা-ভাগ্নে সর্ম্পক প্রচুর কদরও ছিল । কিন্তু এখন তারা আগের মত পরস্পরের সাথে দেখা সাক্ষাৎ হয না , পরস্পরের বাড়িতে যোগাযোগ ও আসা যাওয়ার জন্য প্রয়োজন হয়ে পড়ল পাসপোর্ট-ভিসা । ভাইবোন হয়ে গেল বিদেশ । কিন্তু কে শুনে কার কথা ! মানে নি এসব তারা , যেতে লাগলেন গোপনে নিজ আত্মীয়ের বাসায় আগের মত করে। আর তাদের এই যাওয়াকে অবৈধ , আইন ভঙ্গ বলে অস্ত্রধারী বন্ধুকের নল থেকে গুলি বের হতে লাগল তাদের বুকের ওপর , পিঠের ওপর । এভাবে কমতে থাকল তাদের সংখ্যা , যারা বেচেঁ রইলেন তারা প্রতিবাদ ভুলে এগোতে থাকলেন আরো শ্বাপদসংকল গভীর অরন্য জঙ্গলে এবং সেখানে বন জঙ্গল সাফ করে , বন্য প্রানীর সাথে লড়াই করে বসবাস ও চাষাবাদের উপযুক্ত স্থান তৈরি করে নিল । কিন্ত সেখানে ও রেহাই পেল না আবারও ব্যার্থ হলেন । তারা ঠিকই বন্য প্রানীর সাথে লড়াই করতে পারলে ও অস্ত্রধারী এবং শোষকগোষ্টির সাথে না পেরে ফিলিস্তিনের মত হয়ে গেল নিজ ভুমিতে পরাধীন। বনের জন্তু জানোয়ার তাদেরকে শাসন না করলে ও ঠিক আরেকটি দল তাদেরকে শাসন করার জন্য আহামরি লেগে পড়ল। শাসকগোষ্টিরা প্রথমে শহরাঞ্চলে বস্তি থেকে কয়েক লক্ষ মানুষকে তাদের ওখানে জায়গা করে দিল । এ বস্তি থেকে আগত নিকৃষ্ট মাুনষরা অস্ত্রধারী বাহিনীর সহায়তা নিয়ে ঐ জনগোষ্টির মা বোনের ওপর ঝাপিয়ে পড়ল , তাদের ফলানো ফসল কেটে নিয়ে গেল , জায়গা দখল করল । কিন্তু অত্যাচার যখন চরম পর্যায়ে তখন এই মঙ্গোলিয় গোষ্টিরা ও নিশ্চুপ থাকে নি ঝাপিয়ে পড়ল তাদের ওপর আর ততক্ষনে শাসকগোষ্টির আধুনিক অস্ত্রধারী বাহিনীরা বস্তির মানুষের পক্ষ হয়ে এ নিরস্ত্র পাহাড়ের জনগোষ্টির ওপর গুলি বষন করতে লাগলেন, শুধু এই নয় গুলি বর্ষনে পাশাপাশি তাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে নিঃস্ব করে দিল । এ হাঙ্গামা দাঙ্গামা আগুন গুলি রক্তের পরিবেশে বেড়ে উঠার কিছুু শিশুর চোখে মুখে পশ্নে ছাপ দেখতে পায় কেন গুলি হচ্ছে ? কেন দখল হচ্ছে ? কেন ধর্ষন হচ্ছে তাদের ওপর? তারা তো নিরাপদ আছে , শোষকগোষ্টিরা নিরাপত্তা নামে তাদের ভুমিতে অস্ত্রধারীকে প্রবেশ করিয়ে কেন অনিরাপদ সৃষ্টি করল । এ জনগোষ্টিরা বন্য প্রানীকে ভয় পায় না কিন্তু শাসকগোষ্টি ও অস্ত্রধারী বাহিনীরা তাদের মনে ভয় ভীতির বীজ বুপন করে রেখেছিল । আর সেই ভয় ভীতির স্থান থেকেও অবচেতনভাবে শুধু একটি কবিতা উচ্চারন করত তারা এভাবে ;
ধৈর্যে বাধঁ ভেঙ্গে গেছে আমদের
বহু বারবার,
সময় এসেছে আমাদের উঠে দাঁড়াবার।
মায়ের ভালবাসা যদি দেয় তোমায় বাধাঁ,
তবে মনে করিয়ে দাও তুমি
আগুনের ছাড়খার হওয়া গোমতির কথা,
ষাটের দশকে পানিতে ডুবিয়ে মারা
ইতিহাসের পাতা।
নারী দিবসে ধর্ষনের কথা।
মনে করিয়ে দাও তুমি
পুড়িয়ে দেওয়ার লংগদুর ২০০টি
পরিবার।
আর নয় হাহাকার ,আর নয় ছাড়কার
সময় এসেছে আমাদের উঠে দাঁড়াবার।
তারপর উইন মর্গান বললেন এই শাসকগোষ্টিরা সভ্য পৃথিবীতে কত না অসভ্য শাসন করে বেড়ায় । আচ্ছা তারা কি কবিতার প্রতিফলন হিসেবে শাসকগোষ্টির বিরুদ্ধে কোন আন্দোলন করেছিল ?
উত্তরে বেশীয়াপা
আপনি নিশ্চয় জানেন পৃথিবীতে শান্তির জন্য একটা সংগঠন আছে যার নাম জাতিসংঘ , কিন্তু এই জাতিসঘের সকল নিয়মনীতি উপেক্ষা করে ২০০৩ সালে আমেরিকা ইরাকে ওপর হামলা করে বসে । এটাই প্রমান হয় যে বন্ধুকের নলই ক্ষমতা ও নিরাপদ । আর এটাই তখন সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হয়ে দাঁড়ায় যখন বন্ধুককের নল একটা জাতি দিকে তাক করা থাকে এবং যদি একটা জাতির নিরাপত্তা অন্য হাতে থাকে তখন বলতে হয় জাতির অস্তিত্ব নিমূল হতে চলছে । আর এ বেড়াজাল থেকে বের হতে পারছিল না ঐ সহজ সরল জনগোষ্টিরা ।এভাবে বন্ধুককের নলের কাছে প্রান দিতে দিতে তাদের তীব্র আন্দোলনটি ক্রমশ শীতলে পরিনত হয়েছিল ।
মনোযোগি উইন মর্গান বলল কী নির্মম পরিহাস তাদের সাথে ! তারা যুদ্বের আয়োজন ও তো করতে পারতেন
বঞ্চনার স্বরে বেশীয়াপা বললেন
যুদ্ধ! যুদ্ধ! অনেক যুদ্ধ হয়েছিল , এই সাহসিকতাদের যুদ্ধ থামানো জন্য স্বয়ং শাসকগোষ্টির চুক্তি করেছিল । চুক্তি অনুযায়ী শাসকগোষ্টিরা অস্ত্র জমা দিতে বলল, অস্ত্র জমা দিল এ নিরীহ জনগোষ্টিরা শুধুমাত্র শান্তির জন্য,বেচেঁ থাকার জন্য ,আপনভূমিতে আশ্রয়লাভের জন্য ,নিজ সংস্কৃতি চর্চা জন্য । কেউ চায় নি অস্ত্র হাতে নিয়ে বউ বাচ্চাকে ফেলে অবৈতনিকভাবে গভীর জঙ্গলে থাকতে , ঘুমাতে , ঝুকিঁ নিয়ে অপারেশন করতে । তাই শাসকগোষ্টির কথা মত তাদের পক্ষে যা যা করার সবই করল । কিন্তু সে চুক্তি উভয় পক্ষে মিলে স্বাক্ষর করলে ও এক পক্ষকে তা বাস্তবায়নের জন্য আবারও কত না আন্দোলন করতে হয়েছিল ।
আচ্ছা উইন! আপনি বলবেন ব্যার্থ রাষ্ট্র কাকে বলে ?
উত্তরে তিনি বললেন আমি যতটুকু জানি ব্যার্থ রাষ্ট্র বলতে “ যে সকল রাষ্ট্র উপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তি লাভের পর বিভিন্ন দেশ থেকে প্রাপ্ত সহযোগিতা ,ত্রান , ঋন ও নিজেদের দেশে সম্পদকে সুষ্ঠুভাবে ব্যবহার করে নাগরিকদের আর্থিক অবস্থা, সামাজিক মর্যাদা , পরিবর্তন না হয়ে একটি অস্থিতিশীল ও অনিরাপদ রাজনৈতিক ব্যবস্থা বসবাস করতে হয় ।
হুম ঠিক ঐ জনগোষ্টির চোখে শাসকগোষ্টির রাষ্ট্র ছিল একটি ব্যার্থ রাষ্ট্র, যে রাষ্ট্রে নিজেদের পরিচয়, সামাজিক মর্যাদা নিয়ে লড়াই করতে হয়েছিল যুগের পর যুগ তবু শেষ পযার্য়েও দেখা মিলল না রাষ্ট্রে একটি সম্মানজনক পরিচয় ।সে রাষ্ট্রকে তারা আন্তরিক রাষ্ট্র হিসেবে গ্রহন করতে চায়নি । শাসকগোষ্টিরা তাদেরকে শুধু শোষন করে দারিদ্র বানিয়েছিল এভাবে তাদের ভুমি থেকে খনিজ সম্পদ , বনজ সম্পদ এবং পযটন থেকে কোটি কোটি টাকা হটিয়ে নিয়ে আর বিনিময়ে তাদের ভুমিতে সরবরাহ করল বিভিন্ন বাহিনীর ক্যাম্প, বুলেট , আগুন , নির্বিচার । এ সকল অরাজকতা পরিবেশের মধ্য দিয়ে আপন প্রকৃতি পরিবেশকে উপল্বধি করে বেড়ে উঠার জন্য ঐ জনগোষ্টির কাছে শুধু নিছক কল্পনাই ছিল ।
যখন সারা দেশে দুর্ভিক্ষ ,লুটপাট , ধষর্ন , মাদকাসক্ত ,মৃত্যু মিছিল থামছিল না তখনও শাসকগোষ্টিরা ভিন্ন রক্ত ধারা প্রবাহিত এ জাতিকে ধাবিয়ে রাখা আপ্রান চেষ্টা করেই যাচ্ছিল ।
কিন্তু দ্বিতীয়বার কেন তারা যুদ্বের আয়োজন করল না? তাদের কি কোন ব্যার্থতাই ছিল ? ... উইন মর্গানকে থামিয়ে ।
বেশীয়াপা বললেন, অবশ্যই তাদের প্রধান ব্যার্থতা ছিল নিজেদের মধ্যে সম্মিলিত হতে না পারা । কেননা শাসকগোষ্টির পক্ষে উপনিবেশিক শাসন প্রক্রিয়া লালন করতে পারলে ও এই মঙ্গোলিয় গোষ্টিরা মুক্তি লাভের পথ পালনে ব্যার্থ হয়েছিল । কারন শোষকগোষ্টিরা জানে কীভাবে বিভিন্ন উপদল , গোষ্টিকে আর্থিক সহযোগিতা মাধ্যমে বিভিন্ন মতাদর্শে উস্কানি দিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ সৃষ্টি করতে হয় কিন্তু ঐ পাহাড়ে জনগোষ্টিরা জানে না কীভাবে নিজেদের মধ্যে ঐক্য হতে হয় । এমনকি প্রচুর জনাসমাবেশের অভাবে চাপা পড়ে গেল , তাদের কি ছিল , কি নেই এবং ভবিষৎতে আরো কি থাকবে না কথাগুলো !
যখন কোন জাতি নিজেদের নির্যাতনের ইতিহাস জনগনের মাঝে ছড়িয়ে দিতে ব্যার্থ হয় তখন জাতিয়তা চেতনা নিশ্চুপ থাকে আর জাতিয়তা চেতনা জোরালোভাবে উদ্ধুদ্ব করতে না পারলে একটি জাতির জীবন ও অস্তিত্ব; অচেতন একটা মেশিন অথাৎ টিভিতে পরিনত হয়, যার রিমোট থাকে শাসকগোষ্টির হাতে। এবং শাসকগোষ্টিরা এ রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে নিজের মত করে চ্যানেল পাল্টাতে থাকে। ঠিক এভাবে নির্মূল হতে লাগল ঐ পাহাড়ে বসবাসরত হাজারো জনগোষ্টি ।
যারা শুধু প্রান নিয়ে বাচঁতে চেয়েছিল তাদের বিশেষ একটা অংশ অন্য জাতির সাথে মিশে গেল আর যারা নিজের ভাষা , সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে জীবনযাপন করতে চেয়েছিল তারা যুদ্বে লড়াই করতে করতে তাদের সংখ্যা এখন মাত্র দুইজন । একজন জাদুঘরে আরেকজন বাইরে ।
কথার ফাকেঁ উইন মর্গান , কিন্তু কেন জাদুগরে ? নিশ্চয় নিজের ইতিহাস ঐতিহ্য খুজঁতেছেন ?
না ! শাসকগোষ্টির বাহিনী তাকে বিলুপ্ত প্রানী হিসেবে জাদুঘরে রেখে দিয়েছে; দশনার্থীদের জন্য ।
ওহ! খুবই দুঃখের কথা । কিন্তু আরেকজন কোথায় ? তার ঠিকানা বলবেন প্লীজ ! আমি তার সাথে দেখা করতে চায় ।
আরেকজন আপনার সামনে দাড়িয়ে আছেন আমি বেশীয়াপা। যিনি শুধু নিজের ঐতিহ্য বলে পড়াশুনা শেষ করেও জুম চাষ করে যাচ্ছে, সাথে গোপন মহলের কথাও ।
@ ধীমান ত্রিপুরা ( নৃবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী)
2 Comments
আমি এই গল্পটা ”ককবরক ম্যাগাজিন” গল্প শোনেছি।
ReplyDeleteহ্যাঁ আপনি ঠিকই শুনেছেন, আমি ওখানে ককবরক ভাষায় লিখছিলাম। আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্য যোগ করা করার জন্য।
Delete