আমি একজনকে চিনি, অল্পকয়েকদিনে আমার কাছে আপন হয়ে যায়,খুব আপন মেশানো কন্ঠে চলন্ত রাস্তায় আমার হাত ধরে আমাকে জিজ্ঞেস করছিল,,,
ফটো: এই আই (AI) থেকে
আচ্ছা দাদা , আদিবাসী এলাকায় কেউ খারাপভাবে তাকায় না আদিবাসীরা , এমনকি আমি কয়েক বছর বিদেশের মাটিতে ছিলাম, বিদেশে আমি একা বের হলেও কেউ তাকায় না, আমি আমার কাজগুলো করে নিরাপদে যেতে পারি। কিন্তু এখানে( চট্টগ্রামে) প্রতিমুহূর্তে আনইজি ফিল করি। নারী মাত্রই মায়ের জাত, পুরুষের চাহনি তাদের ফাঁকি দিতে পারে না,,তারা সব বুঝতে পারে,পড়তে পারে চোখের ভাষা, তাইতো তারা এই ধরনে অনেক বড়ো বড়ো প্রশ্ন করে বসে, দেশের টান, জন্মভূমি টান, দেশপ্রেম থেকে। আমিও অতি সারল্য চাপাকন্ঠে বললাম তুমি বিদেশে চলে যাও,,,,এই দেশ আমাদের নই। এখানে আমাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেয় না..এখানে লোকজন জানে না আদিবাসী মানে এক একটা মিউজিয়াম, তাদেরকে সংরক্ষণ করতে হবে অতি মূল্যবান মনে করে..... সংরক্ষণ বলতে কিন্তু......
আমাকে থামিয়ে বললো, আরো একটা কি জানেন দাদা,,, আমাদের বিদেশে পাসপোর্ট ভিসা অতটা চেক করে না,, যতোটা ( পাকিস্তান এবং..... ) এদেরকে চেক করে।
কিন্তু তাকে বুঝতে না দিয়ে আমি মনে মনে বললাম, তুমি যাদের কথা বলছ এদের রক্তের মধ্যে আমাদের আদিবাসী রক্ত রয়েছে ( মঙ্গোলীয় + দ্রাবিড় + অস্ট্রেলিয়+ নিগ্রো) ওরা এই ইতিহাস জানলে পড়লে বিশ্বাস করলে তো আদিবাসীকে সম্মান করতো...... এই চারটি ধারা থেকে তাদের উৎপত্তি, এবং এই চারটি ধারা যে আদিবাসী এগুলো বিশ্বাস করলে তো আমাদের পরিচয় মানুষ ( হোমোস্যাপিয়েন্স) হতো, বাঙ্গালী না পাহাড়ি, কিংবা হিন্দু না মুসলিম পরিবর্তে।
@ ধীমান ত্রিপুরা ( নৃবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী)
0 Comments