Deman Tripura

স্ব-পৌশাক সংস্কৃতিকে উলংগ করে বিয়ের পিড়িতে বসা


                                                                  ফটো: এইআই ( AI) থেকে । 

বিয়েতে কেন রিনাই ( থামি/ নিজস্ব পোশাক) পড়তে অনীহা!  আপনার ভাবনা কি বলে?

মধ্যবিত্ত বা বৃটিশ  পাকিস্তান আমলে  চাকরি করে,  ব্যবসা করে  গড়ে উঠা বাবুশ্রেনিও  এখন আদিবাসী পাহাড়ি সমাজে দেখা যায়, যারা শহরে প্রতিনিয়ত  বসে রেস্টুরেন্টে  চিকেন মাটন চিবাচ্ছে,  এখন এগুলো আর হজম হয় না, পাহাড়ি  সবজি ফলমুল বড্ড খিদে পায় তাদের। মাঝে মাঝে বনমোরগ হরিণ পেলে আহারের ঢেকুর তৃপ্তি তোলার বাসনা জাগে।   খেয়ে দেয়ে বিভিন্ন নাচেগানে অনুষ্ঠানে ( হৌক) জুম নৃত্য দেখে আবেগী হয়ে যায়, চেতনাও আওড়ায় অনেকে, তারা পোশাকে আশাকে কথাবার্তায় বিশ্রী অশ্লীলভাবে বাঙ্গালী বাবু সেজেছে, এমনকি ঘরের গিন্নিকেও সাজায়।  

এই আদিবাসী মধ্যবিত্তদের একাংশ ছেলেমেয়ে  বিয়ের অনুষ্ঠানে শোরুমে গিয়ে রিনাই (থামি) কিনে পয়সা খরচ করার জায়গা  বড্ডই অভাব ও সংকট হয়ে পড়ছে। তাই তারা বেছে নিয়েছে বসুন্ধরা সিটি, আড়ংগুলোকে যেখানে লাখ টাকার শাড়ি কিনে লেহেঙ্গা কিনে বিয়ের পিড়িতে বসবে, বসতেছে।

লাখ টাকা দিয়ে তাদের রিনাই-রিশা ( থামি)   কেনার জন্য  বাজারে রিনাই-রিশা (থামি) নেই। লাখ টাকার ওপর  রিনাই(থামি) কিংবা উৎপাদনকারী নেই আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে বুনন করা লেহেঙ্গা মতো। তাদের বিকৃত মস্তিষ্ক বলে দিচ্ছে  আদিবাসী  সংস্কৃতির নিজস্ব পৌশাকে ভিতরে থাকলে বিয়ের কেনাকাটা অল্প খরচে হয়ে যাচ্ছে,   ফলশ্রুতিতে প্রতিযোগিতা বাজার থেকে  তাদের প্রেসটিজ নুইয়ে পড়ে। অথচ ইন্ডিয়াতে গিয়ে বিয়ে শপিং করা যায় কিংবা মায়ানমারে গিয়ে যদি প্রতিযোগিতা জিততে চায়। তাদের  খরচ করার ইচ্ছেও পূরন হতো। কিংবা  রিনাইককে  আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে বুনলে লাখ টাকা দাম পড়ে, নারীদের কর্মসংস্থান বাড়ে,  দেশী বিদেশে শোরুমেও শোভা পায়,  কিন্তু এরা এটি করবেনা, 

তারা  বিনিয়োগ করবেনা শহরে কারখানা ফেক্টরি রিনাই (থামি)  বুনার জন্য, তারা নাপ্পির কারখানা খোলবেনা কিংবা শুকরের খামার খোলে সেভেন সিস্টার সহ বিদেশে রপ্তানি উদ্যেগ নিবেনা। 

লোকাল রিসোর্স, লোকাল প্রোডাক্ট হিসেবে তারা এনজিওতে এগুলো প্রমোট করবে না। তারা শুধু পাইকারী ধরে সংস্কৃতি আমদানি করবে।  

তারা পুরোপুরি পোস্ট মর্ডান হতে না পারলেও আধা মর্ডান হয়ে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালাচ্ছে।  মাথা মোটা এই বাবুশ্রেনিদের পয়সার অহংকার কিংবা এই মিনি বুজোয়ার শ্রেনির বিরুদ্ধে  শ্রমিক শ্রেনিরা খেতে খাওয়ার মানুষরা  কবে রুখে দাঁড়ায়তে পারবে?  

আপনার ভাবনা কি?  কবে দাড়াচ্ছেন?  


@ ধীমান ত্রিপুরা ( নৃবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী)

Post a Comment

1 Comments

  1. স্যার আমাদের আসলে প্রত্যেক জাতিগোষ্ঠীর নিজস্ব
    কালচারকে উপস্থাপন করা উচিত, তানাহলে একটি ভাষা সংস্কৃতিক পোশাকের মৃত্যু ঘটবে

    ReplyDelete