Deman Tripura

অনেকে প্রশ্ন করে বা জানতে চায়, তাই স্কুল কলেজ সব স্টুডেন্ট এর বুঝার সুবিধার্থে একটু পড়াশোনা করে ঘাটাঘাটি করে একেবারে সহজ ভাষায় উপস্থাপন করা হলোঃ

 @ধীমান ত্রিপুরা

ফটো : এআই ( AI) থেকে 

UNO / TNO, কে সত্যায়িত করে, বা করে না, বা করতে পারে না,,,ড./ ডা.,,, এমপি/ সচিব,,,ক্যাডার/ নন ক্যাডার,,,,,,গেজেটেড / নন গেজেটেড,,,, স্কেল/ বেতন / গ্রেড।,,,,,,প্রোটোকল,,,,,,,রাষ্ট্রীয় মর্যাদা / সামাজিক মর্যাদা,,,,,, স্বায়ত্তশাসিত সরকারি প্রতিষ্ঠান।,,,,,,, ওয়ারেন্ট অব প্রেসিন্ডেসি,,,,,,কর্মকর্তা / কর্মচারী।,,,,,ম্যাজিস্ট্রেট/ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রে,,,,,,,,, নামের আগে ব্যারিষ্টার, উকিল, ইন্জিনিয়ারিং,,,,,,, প্রধানমন্ত্রী / রাষ্ট্রপতি।,৷৷৷৷  প্রতিমন্ত্রী / উপমন্ত্রী /,মন্ত্রীসভা /  মন্ত্রীপরিষদ।,,,এম্বাসি/ রাষ্ট্রদূত / হাই কমিশনার,,,


# ইউএনও ( UNO) / টিএনও( TNO)

নব্বইয়ের দশকে ১ম দিকে  UNO নাম বা পদবীর পরিবর্তে পুনরায়   TNO রাখা হয়। আবার ২০০৯ সালে এসে  TNO এর পরিবর্তে UNO পদবিটি পুনবহাল রাখা হয়,,

এখানে TNO = থানা নির্বাহী অফিসার 

UNO= উপজেলা নির্বাহী অফিসা।


# গেজেটেড  / নন গেজেটেড 

যে সকল চাকরি নিয়োগ পদায়ন বদলি বাংলাদেশ গেজেটে ( প্রজ্ঞাপন বা বিজ্ঞপ্তি) প্রকাশ করা হয় তাদেরকে গ্যাজেটেড কর্মকর্তা বলে,,, বিসিএস সহ আরো অনেক চাকরী, ১ম শ্রেনি ও দ্বিতীয় শ্রেনি যথাক্রমে  ৯ম গ্রেড, ১০ম গ্রেড  চাকরী  রয়েছে যেটি গেজেটে প্রকাশ করা হয় তারা সবাই গ্যাজেটেড। তবে এটা মোটামুটি শিওর থাকতে পারেন, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনি চাকরিগুলো বাংলাদেশ  গ্যাজেটে প্রকাশ করে না।  আর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো    আলাদা করে আইন তৈরি করে, দেওয়ার কারনে  তারা নিজেদের স্বায়ত্তশাসিত আইনের  মতো করে প্রমোশন হয়।  ফলে তাদের বাংলাদেশ গ্যাজেটে প্রকাশ করে না তারা করতেও চাইবে না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজের মতো প্রকাশ করে থাকে। যেটিকে স্বায়ত্তশাসিত ক্ষমতা বলা হয়। এরা নিজেদের মতো করে শাসন করতে পছন্দ করে। আপনি এখন তাদের সাথে তৃতীয় চতু্থ শ্রেনি নন গেজেটেড  তুলনা করলে ভুল হবে,,,, কারন তৃতীয় চতুর্থ শ্রেনি রা তো গেজেটেড হতে চায়,,,বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা তো চায় না,,,এরা নিজেদের মতো বিশ্ববিদ্যালয়কে শাসন করতে চায়  সরকারি বেতন পেলে ও। যদিও বর্তমানে সরকার মাঝে মাঝে চোখ দেয় তাদের ওপর

# কে সত্যায়িত করতে পারবে, পারে না,,বা  করতে চায় না,,, চায়

বাংলাদেশে কাগজপত্র, মুল্যবান দলিল  পাবিলিকের হাতে চলে যাওয়ার পর আসল নকল যাচাইয়ের জন্য রাষ্ট্রপতিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর মাত্র একজন রাষ্ট্রপতি তো গ্রামগঞ্জে সবার সাথে দেখা করে সত্যায়িত করতে পারে না,,, তাই রাষ্ট্রপতিও দায়িত্ব দিয়ে বসলো গেজেটেড কর্মকর্তাদেরকে সত্যায়িত করার জন্য। তবে কোথাও বলা নাই যে শুধু বিসিএস ক্যাডার কতৃক  সত্যায়িত করতে হবে।  তবে অনেক ছেলেমেয়ে গ্যাজেটেড,,  নন গ্যাজেটেড চিহ্নিত করতে ঝামেলা মনে করে,, তাই তারা সরাসরি বিসিএস ক্যাডার খোঁজে ,,কারন এটা সহজ হিসাব তারা সবাই গ্যাজেটেড,,, বিসিএস ছাড়া বাকিদের গ্যাজেটেড খোঁজতে তাদের কাছে ঝামেলা মনে হয়,,, তাই সত্যায়িত জন্য তারা বেশিরভাগ বিসিএস খোঁজে। 

আবার কাগজপত্র যদি প্রধানমন্ত্রী দুই একটা সত্যায়িত করে বরং রাষ্ট্রপতি চাপ ও দায়িত্ব কমে। এখানে আপনি প্রধানমন্ত্রীকে নন গেজেটেড বললে হবে না ,, তাই একইভাবে  অনেক সময় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা গ্যাজেটেড এর কাজের চাপ কমানে জন্য সত্যায়িত করে থাকে। তবে নিয়মও দায়িত্বের কথা বলা  বাড়াবাড়ি অনেক প্রতিষ্ঠান, হয়রানি হিসেবে গ্যাজেটেড চায় চায় করলে করতে  পারে , 

আবার অনেক গ্যাজেটে সিনিয়র কর্মকর্তা sp ডিসি সচিবরা ব্যস্ততার কাজের চাপের  কারনে  সত্যায়িত করতে চায় না।। তাই  বেশিভাগ  uno, Ac land,, স্বাস্থ্যক্যাডারের ডাক্তারা,, কাজের চাপ কম সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে কলেজে সিনিয়র জুনিয়র টিচারা সহ অনেক গ্যাজেটেড কর্মকর্তারা সত্যিয়ত করে থাকে। 

বিসিএস দিয়ে একজন ASp পদে জয়েন দিল,,, আর বিসিএস না দিয়ে একজন পুলিশের জুনিয়র পদে  জয়েন দিয়ে প্রমোশন হয়ে ASp হলো কিন্তু  দুইজনে এখন  গেজেটেড। তাই গেজেটেড হওয়া,  না হওয়া বিসিএস এর সাথে সম্পর্ক নাই।  আশা করি বুঝছেন।

# ক্যাডার / নন ক্যাডার

সহজ অর্থে সকল ধরনে বিসিএস চাকরী হলো ক্যাডার।  আর যারা বিসিএস ভাইবা পর্যন্ত টিকছে কিন্তু সিরিয়াল একটু  পেছনে এবং বিসিএস এ  পোস্ট কম থাকার কারনে যাদেরকে ১ম শ্রেনি ও দ্বিতীয় শ্রেনি চাকরির ব্যাবস্থা করে দেওয়া হয়,,, এবং তারা যদি এই চাকরিতে জয়েন দেয় তখন তাদেরকে নন ক্যাডার বলে। 

আর সকল ১ম শ্রেনি ও দ্বিতীয় শ্রেনি চাকরী কিন্তু বিসিএস পরীক্ষা মধ্যে দিয়ে আসে না,, ফলে এমন সব  ব্যাক্তিকে আপনি নন ক্যাডার বলতে পারে না,,

আর ক্যাডার,  নন ক্যাডার  পার্থক্য হলো ক্যাডারদের একটু বেশি চাকরিতে প্রমোশন হয় দ্রুত উপরের পোস্টগুলোতে।

# গ্রেড/ স্কেল / বেতন এবং সচরাচর সার্কিউলার কি লেখা থাকে? কার পদবি কত বড়??

২০১৫ সংশোধিত সর্বশেষ আপডেট হলো সরকারি চাকরিতে মোট ২০ টি গ্রেড আছে।  প্রতিটি গ্রেডের ভিতর আবার স্কেল আছে।  যেমন ২০ তম একটি  গ্রেডের ভিতর ১৯ টি স্কেল আছে,, ২০ তম ( ৮২৫০,, ৮৬৭০,, ৯১১০,, ৯৫৭০,,১০০৫০,,১০৫৬০,,১১০৯০,,১১৬৫০,,১২২৪০,,১২৮৬০,,১৩৫১০,,১৪১৯০,,১৪৯০০,,১৫৬৫০,,১৬৪৪০,,,১৭২২০,,১৮১৪০,,১৯০৫০,,২০০১০) মোট ১৯ টি স্কেল আছে।  


এখন সব গ্রেড না লিখে বুঝার সুবিধার্থে বেছে বেছে কয়কেটি গ্রেড তুলে ধরা হলো

১০ গ্রেড( ১৬০০০,, ১৬৮০০,,১৭৬৪০,,,১৮৫৩০,,১৯৪৬০,,২০৪৪০,,২১৪৭০,,২২২৫৫০,,২৩৬৮০,,২৪৮৭০,,২৬১২০,,,২৭৪৩০,,,২৮১১০,,৩০২৬০,,,৩১৭৮০,,,৩৩৩৭০,,,৩৫০৪০,,৩৬৮০০,,,৩৮৬৪০,,এই ১০ম গ্রড এ মোট ১৯ টি স্কেল আছে।


আরো ৪ টা গ্রেড লিখব,,, তার কারন আছে,,, একটু ভালো করে পড়ে নিবেন। 

৯ম গ্রেড( ২২০০০,,২৩১০০,,২৪২৫০,,২৫৪৮০,,,২৬৭৬০,,,২৮১০০,,২৯৫১০,,৩০৯৯০,,৩২৫৪০,,,৩৪১৭০,,,৩৫৮৮০,,,৩৭৬৮০,,,৩৯৫৭০,,,৪১৫৫০,,, ৪৩৬৩০,,,৪৫৮২০,,,৪৮১২০,,৫০৫৩০,,৫৩০৬০,,,  এই ৯ম গ্রেড ও এ মোট ১৯ টি স্কেল আছে)


৮ম গ্রেড ( ২৩০০০,,২৪১৫০,,২৫৩৬০,,২৭৯৭০,,২৯৩৭০,,৩০৮৪০,,৩২৩৯০,,,৩৪০১০,,,৩৫৭২০,,, ৩৭৫১০,,, ৩৯৩৯০,,,৪১৩৬০,,,৪৩৪৩০,,, ৪৫৬১০,,,৪৭৯০০,,৫০৩০০,,৫২৮২০,,,৬৫৪৭০,,,এই ৮ম গ্রেডে মোট ১৮ টি স্কেল।

২য় গ্রেড( ৬৬০০০,, ৬৮৪৮০,,, ৭১৩৫০,,,৭৩৭২০,,, ৭৬৪৯০,,) এই গ্রেডে ৫ টি স্কেল। 

১ম গ্রেড আসতেছে দাড়ান ( ৭৮০০০)  যেখানে মাত্র একটি স্কেল আছে। 

তবে এখানে প্রথম গ্রেডে বাইরে গিয়ে over গ্রেডে স্কেল পায়  এমন সরকারী চাকরি হলো ( মুখ্য সচিব,,,সিনিয়র সিচিব,,সেনা প্রধান জেনারেলর) 

# গ্রেড জানলাম,, স্কেল জানলাম,, চলুন এবার বেতন সম্পর্কে জানি,,,

যে ব্যাক্তি যে গ্রেডে স্কেল পায়,, ঐ স্কলের দিগুন বা কাছাকাছি  হলো তার টোটাল বেতন।  

মনে করেন কেউ ২০ গ্রেডে ভিতরে তৃতীয় নম্বর স্কেলটি ৯১১০ পায়,, তাহলে ঐ ব্যাক্তির মুল বেতন ১৮০০০ টাকা। 

এখানে স্কেলের দিগুন হিসেবে মোট বেতন  এক দুই হাজার টাকা কমবেশি হতে পারে।    তবে হিসাবের মতে নিচের গ্রেডের স্কেলগুলো মোট বেতন করার পর দিগুন দেখালেও উপরেরে গ্রেডগুলো খুব বেশী দিগুণ দেখায় না( এই লাইনটি এড করছি নিচে আমারদের ডিপার্টমেন্ট এর শ্রদ্বেয় এডমিন বিসিএস দাদা কমেন্ট করার পর) 

আর  প্রতি বছর  জুন জুলাই মাসে একজন সরকারি চাকুরীজীবি স্কেল সামনে স্কেলে যেতে থাকে,,,যেটিকে increment বলা হয়। এভাবে তার স্কেল পরিবর্তন হয় ও বেতন বাড়তে থাকে প্রতিবছর বছর। 

আর সচরাচর প্রমোশন পেলে গ্রেড পরিবর্তন হয় তখন। 

# আর চাকরী সকল সার্কিউলাতে সচরাচর শুধু গ্রেড এবং  স্কেলের কথা উল্লেখ থাকে,,,মোট  বেতন উল্লেখ করে না,,,ফলে অনেকে স্কেলকে ভুল করে  মোট বেতন হিসেবে ধরে নেই,  আপনাকে গ্রেড ধরে  বিবেচনা করতে হবে,,, যেমন ৯ম গ্রেডে চাকরী।  সার্কিউলার শুধু এরকম থাকবে ৯ ম গ্রেড ( ২২০০০- ৫৩০৬০/)।  

# এবার আসি একজন বিসিএস ক্যাডার কোন গ্রেডে,, কোন স্কেলে জয়েন দেয়। 

আমারা জানি সকল সরকারি চাকরী মোটামুটি গ্রেডের প্রথম স্কেল জয়েন দেয়,,, কিন্তু বিসিএস ক্যাডার ৯ম গ্রেডে ১ম স্কেল ২২০০০ টাকাতে জয়েন না দিয়ে,,, ২য় স্কেলের ২৩১০০ তে জয়েন দেয়,,,, যেটি অনেকের কাছে ৮ম গ্রেডে  ১ম স্কেল মনে হতে পারে( না বুঝালে উপরে স্কলে গ্রেড দেখে নিবেন নতুবা আরো একবার ভালো করে পড়ুন) 

# কার পদবি কত বড় তা অনেকাংশে পদবী ছাড়া ও শুধু গ্রেড দেখে বুঝা যায়,,,

যেমন ১০ম গ্রেডে একজন ওসির স্কেল ২৮১০০ টাকা।  

আর নবীন Asp  তার নবম গ্রেডের স্কেল ২৩১০০ টাকা। 

এখানে ওসি সাহেব,,  Asp এর চেয়ে   স্কেল বেতন বেশী হওয়া সত্বেও শুধুমাত্র বেতনের গ্রেড ও পদবী সিনিয়র হওয়ার কারনে Asp কে সিনিয়র হিসেবে ধরতে হবে। 

তাই বলি,,, বেতন দিয়ে জুনিয়র সিনিয়র মাপা হয় না,,, বরং পদবী ও গ্রেড বিবেচনা করা হয়,,,, আগে চাকরী করার কারনে বেশী বেতন হলে হতে পারে,,,, কারন  চাকরি মেয়াদ যত বাড়ে বেতনও বাড়তে থাকে । যদি একই পদবী ও একই গ্রেড হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে বয়স ও শিক্ষা এবং চাকরীতে কে প্রথম জয়েন দিয়েছে সেটির ওপর ভিত্তি করে সিনিয়র জুনিয়র মেইনটেইন করে। 

আর অফিসার বাদে কলিগ দের মধ্যে এই একই নিয়মটি বিবেচনা করা হয়,, তবে অনেক সময় বয়সে ছোট,  শিক্ষা পড়ালেখায় সিনিয়র তাই বয়সে ছোট হলেও  পরস্পরকে দাদা দিদি নামে সম্বোধন করে। যেটি তাদেরকে বেসিক বা  বুনিয়াদি ট্রেনিং চলাকালীন এসব মেনারসহ অনেক কিছু শেখানো হয়। অবার অনেক নবীন কর্মকর্তারা বয়সে দিক বিবেচনা করে জুনিয়র কে নাম ধরে ডাকে না। 

# কে কর্মকর্তা/ কে কর্মচারী 

সংবিধান অনুযায়ী সবাই কর্মচারী তবুও কর্মকর্তা ও কর্মচারী সুক্ষ্ম পার্থক্যগুলো তুলে ধরলাম 

২০ --- ১৭ তম গ্রেড = চতুর্থ শ্রেনি কর্মচারী 

১৬--১১ তম গ্রেড = তৃতীয় শ্রেনি কর্মচারী 

শুধু ১০ গ্রেড = ২য় শ্রেনি কর্মকর্তা 

১--- ৯ ম গ্রেড = ১ম শ্রেনি কর্মকর্তা 

এখানে ১১ তম সর্বশেষ স্কেলে চাকরি করলে তাকে ২য় শ্রেনি কর্মকর্তা বলা যাবে।  আবার ১০ ম গ্রেডে সর্বশেষ স্কেলে চাকরী করলে তাকে ১ম শ্রেনি কর্মকর্তা বলা যাবে।  

#ড. / ডাঃ 

নৃবিজ্ঞান,  বাংলা,, ইংলিশ গনিত  হতে শুরু করে যেকোন বিষয়ে পিএইচডি ( Phd) করলে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেসরর জ্ঞানী দার্শনিক মহলে  তার পিএইচডি করা গবেষনাকে প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিলে ঐ ব্যাক্তি  নামের শেষে ড. লিখতে পারবে। এটি কোনভাবে ডাক্তারের সাথে সম্পর্ক নয়,,বরং এটি প্রাতিষ্ঠানিক  গবেষণার সাথে সম্পর্ক। 

আর ডাঃ হলো মেডিকেলে BDS  অথবা MBBS পাস করার পর BMDS তে রেজিষ্ট্রেশন করতে পারলে নামের সাথে সহজে ডাঃ লেখা যাবে। তবে রেজিষ্ট্রেশন না করে ও লেখা যাবে তবে একটু নিয়মের বাইরে আর কি,,,, আবার অনেকে কেউ জানে না,,পুলিশ ধরে না মাঝে মাঝে বলে,  অনেকে ডিপ্লোমা কোর্স করেও নামের শুরুতে ডাঃ  লিখতে পারে, যা সম্পূর্ণ ভুয়া বা এক ধরনে অহংকার নতুবা টাকা কামানো ডান্ডায় রোগি দেখে।

তবে পরিশেষে একটু ক্লিয়ার সেটি হলো সংক্ষিপ্ত করে ড.,  ডাঃ  লেখার ক্ষেত্রে এই আকারযুক্ত বা আকারবিহীন পার্থক্য দেখে চিনলেও ইংরেজিতে সংক্ষিপ্ত করে লেখার সময় উভয়ের Dr লিখে। তাছাড়া একজন ডাক্তার পিএইচডি করলে সেইতো একসাথে নামের আগের   আর ডাঃ ড. দুইটা লিখবেনা।তাই সংক্ষিপ্তর ওপর খুব বেশী নির্ভর করা যায় না ।

# ইন্জিনিয়ার

IEB অন্তর্ভুক্ত প্রকৌশলী ( বুয়েট,,চুয়েট,,রুয়েট,,কুয়েট,, ডুয়েট)  এবং কিছু কিছু নামকরা বিশ্ববিদ্যলয়ে ৪ বছর ইন্জিনিয়ারিং রিলেটেড ডিগ্রি অর্জনের পর নামের শেষে ইন্জিনিয়ারিং লেখা যায়। তবে ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়া করে কেউ নিজেকে ইন্জিনিয়ারিং বলা যাবে না। সর্বোচ্চ সেই নিজেকে ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ার বলতে পারবে। শুধু ইন্জিনিয়ার বললে বা পরিচয় দিলে আসল ইন্জিনিয়া পদবিকে ছোট বা অপমান করার মতো। 

# তিন বছরে ডিগ্রিকে বলে পাস কোর্স বা স্নাতক বলে ,, আর ৪ বছরের ডিগ্রিকে অনার্স বা স্নাতক সম্মান বলে।  আর মাস্টার্সকে স্নাতকোত্তর বলে।

#এডভোকেট / ব্যারিষ্টার 

এডভোকেট এর বাংলা উকিল। টাকা বা বেতন বা বিনামুল্যে সেবা হিসেবে অথাৎ কারো পক্ষ হয়ে আইনী  কথাবার্তা  বলা।  যখন আইন নিয়ে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় ( এখানে একটু বলে রাখি স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় অর্থ হলো ঃ যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা বা সাবজেক্ট বা ডিপার্টমেন্টের মান আছে স্বীকৃত দেওয়া আছে এই ধরনে বিশ্ববিদ্যালয়কে বুঝায়, কারন দেশে অনেক ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয় আছে যেখানকার সার্টিফিকেট মানগুলো এত বেশী বিবেচনা করে না,,,,) এই রকম স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন নিয়ে ৪ বছর ডিগ্রী লাভের পর একজন আইনজীবী মানে ১০ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন উকিলের অধীনে ৬ মাস ইন্টার্নশিপ হিসেবে কাজ শেখার পর,, প্রীলি,,রিটেন,,মৌখিক পরীক্ষা  উত্তীর্ণ হলে নিম্ন আদালতে উকিল হিসেবে প্রেকটিস করার জন্য অনুমোদন লাভ করে। এটি খুবই ধৈর্য ও লম্বা ক্যারিয়ার। এভাবে এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের একজন আইন স্টুডেন্ট  এডভোকেট হতে পারবে। 

ঠিক একইভাবে লন্ডনে ব্রিটিশ ল( আইন) ডিগ্রি অর্জনের পর সেখানকার আদালতে ট্রেনিং কোর্সে টিকলে ব্যারিষ্টার হিসেবে স্বীকৃতি পায়। তবে অনেকে শুধু বিট্রিশ ল ডিগ্রি অর্জনের পর ব্রিটিশ আদালতে প্রেকটিস না করে, দেশে এসে নামের শেষে ব্যারিষ্টার লিখে থাকে। বড়লোকদের  পড়াশোনা তো, তাই মন্ত্রী মিনিষ্টারও এই ব্যাপারে জোরালো কিছু কয় না

# ম্যাজিস্ট্রেট / নির্বাহী ম্যাজিস্টেট 

ম্যাজিস্ট্রেট অর্থ হলো জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।  যেটি আইন নিয়ে ৪ বছর ডিগ্রি করে BJS পরীক্ষা পাস করে এই পদে আসতে হয়,,, অন্যদিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হলো প্রশাসন  বা বিসিএস থেকে আগত কর্মকর্তা।  যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন নিয়ে পড়াশোনা না করে ও শুধু চাকরী প্রশিক্ষণকালীন কয়েকটি বেসিক আইন বই পড়িয়ে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরন করে এই পদে পাঠানো হয় তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলে। 

# MP / সচিব 

ওয়ারেন্ড অব প্রেসিডেন্সি মানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায়, দাড়ান একটু বুঝিয়ে বলি,,মনে করেন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান,  প্রোগ্রাম,, শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া,, সংসদ ভবনে আসন,,, কে আগে ফুল দিবে,,কে পড়ে দিবে ,, কে কতজন ডিওটি হিসেবে পুলিশ পাবে,,, কে সামনে বসবে কে পেছনে বসবে এসবের ক্ষেত্রে mp রা সচিবদের সামনে। 

তবে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে বাইরে সামাজিক অনুষ্ঠানে প্রোগ্রামে জ্ঞান বুদ্ধি পড়াশোনা বিবেচনা করে mp দের চেয়ে সচিবে প্রাইরোয়টি দেয় অতিথি বা প্রধান অতিথি হিসেবে,,,

অথাৎ রাস্ট্রীয় মর্যাদায় mp বড় এবং সামাজিক মর্যাদায় সচিব বড়।

# চাকুরীজীবি ও জনপ্রতিনিধি,,

, ( একজন uno  চাইলেও গ্রাম গঞ্জে,  কলোনি বসতি সাধারন  জনগনের সাথে বসে মদ খাবে না, তাস খেলবে না,,, প্রেসটিজ এর হতে শুরু করে, চাকরীর রুলস ফলো করতে গিয়ে,,,, তবে ডিওটি শেষ হলে গোপনে কাজটি করলে করতে পারে,, কিন্তু একজন উপজেলা চেয়ারম্যান ভোট খোজতে গিয়ে কলোনি বসতি সব শ্রেনি মানুষের সাথে বসে মদ খেলে খেতে পারে বা  এ কাজটি করতে পারে,,, একজন চাকুরীজীবি বা আমলা অফিসারের মত করে জনগনকে সেবা দিতে হবে ,,,, কিন্তু একজন জনপ্রতিনিধি সাধারন পাবলিকের  মতো করে  সেবা দিতে পারবে জনগনকে,,, জনপ্রতিনিধি নিদিষ্ট কোন ডিওটি নেই।  ,,, যদিও এখানে আমলারা অফিসারের মতো সেবা দিতে গিয়ে প্রভুর মতো আচরন করে অনেকে।


জনপ্রতিনিধি ও চাকরিজীবি ক্ষমতা বিষয়টি আরো ক্লিয়ার করি,, মনে করেন এই মুহুতে থানা ঘিরে ফেলছে জনগন,,তখন ওসি সাহেব জনপ্রতিনিধিকে গ্রেপ্তার করলেন,,,, জনগন আরো থানা ঘিরে ফেলল,,, তার পর অন্য সকল বিভাগ থেকে পুলিশ এনে জনগনকে থামাতে চাইল,, তখন অন্য বিভাগে লোকজন ও পুলিশের চলে যাওয়া খালি থানাকে ঘিরে ফেলল তখন অবশেষে জনগনের কাছে হার মানতে হয়। অতীতে এইরকম জনগনের শক্তির  শত  শত উদাহরণ হলো ( তেভাগা আন্দোলন,  ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন,  ভাষা আন্দোলন,,  রুশ বিপ্লব,, আরব বসন্ত আরো অনেক) 

# প্রধানমন্ত্রী / রাষ্ট্রপতি( প্রাইম মিনিস্টার এবং প্রেসিডেন্ট) 

বাংলাদেশের সংবিধান যেহেতু মন্ত্রী পরিষদ শাসিত সরকার তাই প্রধানমন্ত্রী দেশ শাসন করবে। সেজন্য টিভি, মিডিয়ায়, পেপার,পত্রিকায়,, গণমাধ্যমে এবং বিভিন্ন অনুষঠানে প্রধানমন্ত্রীকে বেশী দেখতে পাবেন। আর সেই দেশে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও সর্বোচ্চ সম্মান নিয়ে বসে থাকে,,, আর প্রেসিডেন্ট শাসন হলে তার উল্টা,, তখন প্রেসিডেন্ট ক্ষমতা নিয়ে দেশ চালাবে,,, যেমন উদাহরন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমেরিকা। 

# মন্ত্রীসভাঃ  শুধুমাত্র মন্ত্রীদের সভা,,

# মন্ত্রী পরিষদেঃ  মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী , উপমন্ত্রীসহ মন্ত্রী সমমর্যাদা ব্যাক্তিদের নিয়ে সভা। 

পদমর্যাদা হলোঃ মন্ত্রী  তারপর প্রতিমন্ত্রী,,, তারপর উপমন্ত্রী। 


# অ্যাম্বাসি ( অম্বাসেডর এবং হাইকমিশনার)  

অ্যাম্বাসি এর বাংলা হলো দূতাবাস। বাংলাদেশ সরকার বিদেশে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের সরকারি অফিস খোলছে,,,  একই ভাবে বাংলাদেশে ও বিদেশের অনেকে সরকারি অফিস আছে। 

যেমন আমাদের দেশে আছে,, আমেরিকা দূতাবাস,,জাপান দূতাবাস,,,চীনা দূতাবাস আছে। 

একইভাবে সেই দেশেও আমাদের ছোট পরিসর করে বাংলাদেশের অফিস আছে,,,, 

আর এই অফিসের প্রধানকে রাষ্ট্রদূত বা ইংরেজিতে অ্যাম্বাসেডর বলে। তবে বিট্রিশ আগে শাসন করছে এমন দেশগুলোকে নিয়ে কমনওয়েলথ গঠিত হয়েছে,,, এই কমনওয়েলথভুক্ত  সকল দেশের মানুষ পরস্পরের দেশের রাষ্ট্রদূত বা অ্যাম্বাসেডর পরিবর্তে  হাই কমিশনার বলে ডাকে।


#  প্রোটোকল ঃ

প্রোটোকল শব্দটি আইসিটি হতে শুরু করে বিভিন্ন জায়গা ব্যাবহার হলেও রাষ্ট্রে প্রোটোকল বলতে যা বুঝি তা হলোঃ

সচিব, ভি আইপি, মন্ত্রী,  প্রধানমন্ত্রী কত জন পুলিশ আর্মি পাবে,,নিরাপত্তা কেমন হবে, কারা কারা নিরাপত্তা দিবে  ,,, কে কোথায় বসবে,,,কোথায় খানা দানা হবে,,,কোথায় রেস্ট নিবে ,,, কি কি নিয়ে কথা হবে,,কি কি কাগজে  সাইন করতে হবে,,,কে কার পাশে বসবে এই সকল নিয়ম কানুন প্রক্রিয়াকে বুঝায়,,, 


ফাইনালী যেট বলব,,,কেউ বয়সে বড়,, কেউ শিক্ষায় বড়,,, কেউ চাকরিতে যোগদানের দিক দিয়ে বড়,,কেউ বেতনে বড়,,, কেউ স্কেলে গ্রেডে বড়,, কেউ সামাজিক মর্যাদায় বড়,,কেউ রাষ্ট্রিয় মর্যাদায় বড়,,কেউ সত্যায়িততে বড়।,,, কেউ মনের দিক দিয়ে বড়,,,কেউ লেখার ক্ষমতা, চিন্তার ক্ষমতা দিক দিয়ে বড়,,, তাই কেউ সব বিষয় নিয়ে বড় হতে পারে না। বাংলাদেশে রাষ্ট্রেীয় মর্যাদায় যেমন রাষ্ট্রপতি বড়,,একইভাবে রাজনীতি ক্ষমতায় প্রধানমন্ত্রী/রাষ্ট্রপতি বড়,,,জ্ঞানের জায়গায় বিশ্বেবিদ্যালয় শিক্ষকেরা বড়,,,অস্ত্রের জায়গায় সেনাবাহিনী বড়। মানুষ হিসেবে আমাদের সকলের মন বড়। 

তাই তুলনা না করে যে যার পৃথক নাগরিক দায়িত্ব বোধ,,ব্যাক্তিগত কর্তব্যবোধকে শ্রদ্বা করি। 


এই তথ্যটি লিখতে গিয়ে যেটার সহযোগিতা নিতে হয়েছে বা  আমাকে পড়াশোনা করতে হয়েছে ,,,, তা হলো

১/ চাকরি বিধানাবলি ও ট্রেজারী রোলস ২ টি বই পড়ছি লেখকের নাম মনে করতে পারতেছি না

২/ বাংলাদেশ গেজেট অনলাইন কপি। 

৩/ নিউজ পেপার অফলাইন ও অনলাইন 

৪/ গুগুল এবং বিভিন্ন সরকারি চাকরী ও বিসিএস গ্রুপ থেকে।

৫/ পৌরনীতি ও সুশান  বই  মোজ্জামেল হকের 

৬/ মন্ত্রণালয়ে ও পিএসসি ওয়েবসাইট 


ধীমান ত্রিপুরা 

বি.এস.এস (অনার্স), এম.এ (নৃবিজ্ঞান), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।


Post a Comment

1 Comments

  1. স্যার,একসাথে অনেকগুলো তথ্য পেয়ে ভালো লাগলো

    ReplyDelete